রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর : সিতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় শণাক্ত করা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মী এখনো সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আরো ২ জন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া সাধারণ জনগণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ১০ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৯ জন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি, জি, এমফিল মহোদয় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
গত ৪ জুন (দিবাগত) রাতে চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস প্রথম এ সংবাদ পায় ২১-২৫টায়। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম ও আশপাশের সকল ফায়ার স্টেশন দুর্ঘটনায় অংশগ্রহণ করে। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফাস্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে ৯ জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরো ১৫ জন কর্মী সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ২ জনের সংবাদ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত ২৫টি ইউনিট দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও কুমিল্লা, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন আশপাশ এলাকা থেকে ফায়ার ইউনটি ঘটনাস্থলে নিয়োজিত করা হয়েছে।
সবশেষ সিতাকুন্ডের অগ্নিকাণ্ডে কাজ করতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ২০ জনের বিশেষ হ্যাজমট টিম চট্টগ্রামে যাচ্ছে। হ্যাজম্যাট (হ্যাজারডাস মেটারিয়াল) টিমে এসব সদস্য দেশে-বিদেশে বিশষভাবে প্রশিক্ষিত। আরো জানা যায়,ফায়ার সার্ভিসের গুরুতর ২ জন কর্মীকে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে। তাদেরসহ সাধারণ লোকের মধ্যে গুরুতর আহত আরো ৭ জনকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় ল্যান্ড করেছে। এদের ঢাকার বার্ন ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।